ওলী-আউলিয়াগন শাফায়াত করতে পারবেন কিনা? - ইসলামী তথ্যকোষ

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২০

demo-image

ওলী-আউলিয়াগন শাফায়াত করতে পারবেন কিনা?

Shafayah

মহান আল্লাহ পাকের ওলী-আউলিয়াগন শাফায়াত করতে পারবেন কিনা?

আজকে এ পর্যায়ে ইন-শা-আল্লাহ তাপস্যকুল শিরোমণি বিখ্যাত ওলী, তাবেয়ীও আশিকে রাসুল ﷺ ওয়াইছ করনী (রাঃ) সম্পর্কে কিছু হাদিস আপনাদের সামনে পেশ করবো:

হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাদয়া বলেন, রাসূল ﷺ কে বলতে শুনেছি, "আঁমার একজন উম্মতের শাফায়াতে বনী তামীম গোত্রের লোকের চাইতে অধিক লোক জান্নাতে যাবে,সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুল্লাল্লাহ ইহা কি আঁপনি ব্যতিত অন্য কেউ? নবীজী ﷺ বলেন,হ্যাঁ।"

[তিরমিযী,২য় জিঃ ৭০ পৃষ্টা
ইবনে মাজাহ,৩৩০পৃষ্টা
মেসকাত, ৪৯৪পৃষ্টা
মুসনাদে আহম্মদ,৪৬৯/৩
দারেমী শরিফ,২/৪২৩পৃষ্টা
হাকেম, ১/১০৩ পৃষ্টা]
সনদ সহিহ

হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার উম্মতের এক বিশেষ ওলীর সুপারিশ করা সম্পর্কে ইরশাদ করেন, "হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবুল জাদয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনাকে বলতে শুনেছি, আঁমার উম্মতের এক ব্যক্তির সুপারিশে বনী তামীম গোত্রের লোক সংখ্যা হতেও অধিক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে।"

[সুনানে তিরমিযী শরীফ,সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরীফ ৫৩৬১, সুনানে দারেমী]

নোট : এই হাদিসটি অনেক উলামায়ে কেরাম "আশিকে রাসুল ﷺ বিখ্যাত তাবেয়ী ওয়াইস করনী (রহঃ) এঁর কথা বলে উল্লেখ করেছেন।"

আশিকে রাসুল ﷺ বিখ্যাত তাবেয়ী ওয়াইস করনী (রহঃ) সম্পর্কে হাদিসের আরও কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরবো:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,"হযরত উয়ায়ছ করণীর শাফায়াতে রাবী ও মুজার গোত্রের মেষের পশম সমপরিমান লোক বেহেশতে যাইবে।"
[মিশকাত শরীফ]

হযরত আবি মাসউদ-উল-আনসারী হতে বর্নিতঃ রাসূল ﷺ বলেছেন,“আঁমার উম্মতের ভিতর এক ব্যক্তি,যাহাকে লোকে উয়ায়েছ ইবনে আবদুল্লাহ্ করণী বলে, তাহার প্রার্থনায় অবশ্যই রাবিয়া ও মুজার এই দুই গোত্রের বকরীর পশমের সংখ্যক গুনাহ্গার উম্মতের গুনাহ্ মাফ হইবে।”

[শওয়াহেদুন-নবুওয়াত/মছনবী রহীম]

হযরত উমর বিন খাত্তাব হইতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলিয়াছেন, “নিশ্চয়ই ইয়েমেন হইতে তোমাদের নিকট এক লোক আসিবে যে উয়ায়ছ নামে অবিহীত। সে তাহার মাতার জন্য ইয়েমেন ত্যাগ করিতে পারে না।তাহার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল। সে আল্লাকে ডাকিল,তাহার শ্বেত রোগ এক দিরহাম পর্যন্ত ব্যতীত দূর হইয়া গেল। তোমাদের মধ্যে যে কেহ তাহার সাক্ষাত পাও তাহাকে অনুরোধ করিবে যেন সে তোমাদের মাগফিরাতের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে ।

[মুসলিম শরীফ ৬২৫৯/ মিশকাত শরীফ ৬০০৬]

হযরত ওমর (রা:) বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺকে বলিতে শুনিয়াছি, নিশ্চয়ই,অনুগতদিগের (খায়রুত্তাবেয়ীন) মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যাহার নাম উয়ায়ছ। তাহার মা আছে এবং তাহার শরীরে একটি শ্বেত চিহ্ন আছে। তোমরা (তাহার সংগে দেখা করিয়া) অনুরোধ করিবে যেন সে তোমাদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে।

[মুসলিম শরীফ ৬২৬০/ মিশকাত ৬০০৬]

রাসূল ﷺ হযরত ওমর (রাঃ) কে বলিলেন,উয়ায়ছ ইবনে আমর মুজাহিদগণের সাহায্যার্থে আগমনকারী ইয়েমেনবাসীদের সহিত তোমাদের নিকট আসিবে।সে মুজার গোত্রের কারণ শাখার অন্তর্ভুক্ত।তাহার ধবল রোগ ছিল। (আল্লাহর নিকট দোয়া করিবার কারণে) এক দিরহাম পরিমান স্থান ব্যতীত সে উহা হইতে আরোগ্য লাভ করে। তাহার মাতা আছে। সে তাহার মাতার সহিত সদ্ব্যবহার করে। সে আল্লাহর নিকট শপথ করিলে, আল্লাহ তাহা পূরণ করে। তাহার দ্বারা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা করাইতে সক্ষম হইলে তাহা করাইবে।
[মিশকাত শরীফ]

আবার আরেকটি বর্ননায় দেখা যায়।নিশ্চয় রাসূল ﷺ বলেছেন,আঁমার উম্মতের মাঝে এমন এক ব্যক্তি হবে যার শাফায়াতে ‘মোদ্বার’ গোত্রের চাইতে অধিক লোক জান্নাতে যাবে।

[ইবনে মাজাহ, মুস্তাদরাকে হাকেম শরিফ, সহিহ হাদিস।এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম হাকেম বলেন, এই হাদিস ঈমাম মুসলীমের শর্তানুযায়ী সহিহ।মুস্তাদরাকে হাকেম, ১ম খন্ড, ১০৪ পৃষ্ঠা]

তবে অন্য একটি বর্ননা হতে আরও পরিষ্কার ধারনা হয়। হযরত আবু ছাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত।রাসূল ﷺ বলেছেনঃ আঁমার উম্মতের এমন লোক আছে যে বহু সংখ্যক লোক শাফায়াত করবে।এমন লোক আছে যে একটি গোত্রের শাফায়াত করবে। এমন লোক আছে যে কিছু সংখ্যক লোকের শাফায়াত করবে। এমন লোক আছে যে কিছু সংখ্যক লোকের শাফায়াত করবে। এমন লোক আছে যে একজন শাফায়াত করবে, শেষ পর্যন্ত তাঁদের শাফায়াতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

[তিরমিজি, ২য় জিঃ, মুসনাদে আহমদ, তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৬ম, জিঃ]

রাসূল ﷺ বলেন আঁমার উম্মতের মাঝে এক ব্যক্তি হবে যার শাফায়াতে মোদ্বার গোত্রের চাইতে অধিক লোক। জান্নাতে যাবে।
[ইবনে মাজাহ,৩৩১ পৃষ্টা,হাকেম শরিফ, ১/ ১০৪ পৃষ্টা,সহিহ হাদিস]


[by-Farhan kaderi]