সহজ কথায় যে কোন বৈধ পন্থায়। যেখানে শরীয়তের খেলাফ নেই। অশ্লীলতা নেই। হারামের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। আর যদি হয় কোন সুন্নাহ পন্থায় তবে তো কথা-ই নেই।
মিলাদ মাহফিল- সে তো আবু সাঈদ খুদরী, ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহুম) বর্ণিত বেলাদত খুশিতে সে শুকরিয়া জলসা। যা ফিরিশতাদের উপর আল্লাহ্ তা'আলার গৌরব। নবিজীর শাফায়াতের ওয়াদা।
জুলুস- সে তো মদিনা মুনাওয়ারায়, রাসুলে আরাবীর ﷺ ক্বদম পড়ায় সে মুবারক র্যালী। দলে দলে ধরাধামে ফেরেশতাকুলের মিছিল।
ইয়া রাসুলাল্লাহ স্লোগান - সে তো "ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ, ইয়া রাসুলাল্লাহ" র সেই স্লোগান (মদিনাতে প্রিয় নবীর ﷺ কদম পড়ার দিন)। যে স্লোগানে মুখরিত হয় মদিনার অলি গলি। বাড়ির ছাদ। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় খোশ-খবর। "নবিজীর আগমন।”
পতাকা বহার ও আলোকসজ্জা- সে তো মা আমিনার রাসুলে আকরামের ﷺ বেলাদাতের বর্ণনা। তিনটি পতাকা। যা তিনি লক্ষ করেন পূর্বে, পশ্চিমে ও কাবার ছাদে। দেখেন একটি উজ্জ্বল নুর, যার আগমনে শাম দেশের প্রাসাদ পর্যন্ত আলোকিত।
খাসায়েসে কুবরা, খন্ড:-১, পৃ: ৮১;
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খন্ড:-৬, পৃ: ২৯৮;
না'ত পরিবেশন- সে তো মদিনার শিশু কিশোরের মুখে বাজতে থাকা না’ত, নবিজীর সেই প্রশংসা গীতি। (মদিনাতে প্রিয় নবীর ﷺ কদম পড়ার দিন)
"তলায়াল বাদরু আলাইনা, মিন ছানীয়াতিল ওয়াদা।
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা, মাদায়া লিল্লাহ হিদা।”
আমরাও পড়ি -
- "তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে।মধু পূর্ণমারই সেথা চাঁদ দোলে।"
- "নূর নবী এসেছে, নূর নিয়ে এসেছে। সেই নূরেতে সারা জাহান আলোকিত হয়েছে।"
- "দয়াল নবীর আগমণে আনন্দিত ত্রিভুবন। উল্লাসে মাতিয়া ওঠে পেয়ে নবীর দো-চরণ।"
- "আজ কোন আয়া হে! আমিনা কি আগনে মে।"
- "আমিনা বিবি কে গুলশান মে আয়া হে তাজা বাহার। পড়তেহে সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম আজ দার দীবার।"
- ”জিসকা কোয়ি সানী নেহী। ওহ নবী হামারা হে।”
- "তলায়াল বাদরু আলাইনা, মিন ছানীয়াতিল ওয়াদা। ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা, মা-দা-আ লিল্লাহি দা।............
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন