হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল [رضي الله عنه] হতে বর্ণিত, রাসূলাল্লাহ [ﷺ] ইরশাদ করেনঃ
[ وعن معاذ بن جبل، عن النبى صلى الله عليه وسلم قال :《 يطلع الله الى جميع خلقه ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه، الا لمشرك، او مشاحن》.]
"আল্লাহ তা'আলা শাবান মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ (শবে বরাত) এর রাতে সমস্ত মাখলুকাতের দিকে রহমতের নজরে তাকান। সমস্ত মাখলুকাতকে আল্লাহ্ তা'আলা মাফ করে দিবেন। তবে মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত।"
- ইমাম বায়হাক্বীঃ শুয়াবুল ঈমান; ৫/৩৬০ পৃ. হাদীসঃ ৩৫৫২ এবং ৬৬২৮.
- ইমাম আবু নঈমঃ হুলিয়াতুল আউলিয়া; ৪/২২২ পৃ.
- ইমাম ইবনে মুনযিরীঃ তারগীব ওয়াত্তারহীব; ২/২২, হাদীসঃ ১৫১৭.
- ইমাম তাবরানীঃ মু'জামুল কবীর; ১/১৪২পৃ. হাদীসঃ ২১৫.
- ইমাম ইবনে হিব্বানঃ আস-সহীহ্; ১২/৪৮১পৃ. হাদীসঃ ৫৬৬৫.
- ইমাম বায়হাক্বীঃ ফাযায়েলে ওয়াক্ত; ১/১১৮পৃ. হাদীসঃ ২২.
- মাম তাবরানীঃ মু'জামুল আওসাত; ৭/৩৬পৃ. হাদীসঃ ৬৭৭৬.
- ইবনে হাজার হায়সামীঃ মাযমাউয যাওয়াইদ; ৮/৬৫পৃ. হাদীসঃ ১২৯৫৬.
- (লা-মাযহাবী) আলবানী: সহিহুত তারগীব; হাদীসঃ ১৫১৭, তিনি বলেন- হাদিসটি হাসান, সহীহ্।
- ইবনে আছিমঃ আস্-সুন্নাহ্; ১/২২৪পৃ. হাদীসঃ ৫১২.
- ইবনে আসাকীরঃ তারীখে দামেস্ক; ৫৪/৯৭ পৃ.
- তাবরানীঃ মু'জামুল কবীর; ২০/১০৮পৃ. হাদীসঃ ২১৫.
- মুসনাদিস্-শামীনঃ ১/১২৮পৃ. হাদীসঃ ২০৩ ও ৪/৩৬৫পৃ. হাদীসঃ ৩৫৭০.
- আবু নঈম ইস্পাহানীঃ হুলিয়াতুল আউলিয়া; ৫/১৯১পৃ.
- বায়হাক্বীঃ শুয়াবুল ঈমান; ৯/২৪পৃ. হাদীসঃ ৬২০৪.
- সাজারীঃ তারতীবুল আমালি; ১/৩৭২পৃ. হাদীসঃ ১৩২০ ও ২/৪৫পৃ. হাদিসঃ ১৫২৫ এবং ২/১৪০পৃ. হাদীসঃ ১৮৮১
- হায়সামীঃ মাওয়ারিদুয্-যামান; ১/৪৮৬পৃ. হাদীসঃ ১৯৮০.
- দারে কুতনীঃ আল-নূযুল; ১/১৫৮পৃ. হাদীসঃ ৭৭.
- মিযযীঃ তুহফাতুল আশরাফ বি মা'রিফাতুল আতরাফ; ৬/৪২০পৃ. হাদীসঃ ৯০০৬.
- মুত্তাকী হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল; ৩/৪৬৮পৃ. হাদীসঃ ৭৪৬৪.
- সালিম জাররারঃ ইমা ইলা যাওয়াইদ; ৫/৫১৭পৃ. হাদিসঃ ৫০৭২.
- ইবনে কাসীরঃ জামিউল মাসানিদ; ৭/৫৩০পৃ. হাদীসঃ ৯৬৯৭.
- (লা-মাযহাবী) আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী: সিলসিলাতুল আহাদিসুল সহিহাহ, ৩/১৩৫ পৃ. হাদীসঃ ১১৪৪, তিনি বলেন-সনদটি সহীহ্।
❏ সনদ পর্যালোচনাঃ
আল্লামা ইবনে হায়সামী [رحمه الله عليه] উক্ত হাদিস সম্পর্কে বলেনঃ
[ رواه الطبرانى فى الكبير والاؤسط ورجالهما ثقات. - (مجمع الزوائد : ٨/ ٦٥)]
"উক্ত হাদিসটি ইমাম তাবরানী 'মু'জামুল কবীর' ও 'মু'জামুল আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন- উক্ত হাদিসটির সমস্ত রাবী সিকাহ বা বিশুদ্ধ।"
[আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী: মাযমাউয যাওয়াইদ; ৮/৬৫ পৃ.]
মুয়াজ বিন জাবাল [رضي الله عنه] এর উক্ত হাদিস সম্পর্কে ইমাম মুনযির এবং (লা-মাযহাবী) আহলে হাদিসের অন্যতম আলেম মোবারকপুরী বলেন:
[وقال منذرى والترغيب بعد ذكره : رواه الطبرانى فى الاوسط وابن حبان فى صحيحه والبيهقي ......... باسناد لا بأس به - تحفة الاحوذى: ٣/ ٤٤١]
"ইমাম মুনযির [رحمه الله عليه] তার তারগীব গ্রন্থে হাদিসটি উল্লেখের পর বলেন, ইমাম তাবরানী তার 'মু'জামুল আওসাতে', ইমাম ইবনে হিব্বান তার 'আস-সহিহ' গ্রন্থে এবং ইমাম বায়হাক্বী [رحمه الله عليه] স্বীয় গ্রন্থে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদিসটির সনদ لا بأس به অর্থাৎ সনদে কোন অসুুবিধা নেই।"
[মোবারকপুরী: তুহফাতুল আহওয়াজী; ৩/৪৪১ পৃ. হাদীসঃ ৭৩৬]
[সূত্রঃ প্রমাণিত হাদীসকে জাল বানানোর স্বরুপ উম্মোচন; কৃত-মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর, খন্ড-১, পৃ.২৮১]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন